সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: আগামিকাল ৯এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিলেটসহ দেশব্যাপী পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রাত পবিত্র শবে বরাত।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে দৈনিক ৫ ওয়াক্তের নামাজ বাসাবাড়িতে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়।
মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, হিজরি সাবান মাসের ১৫ তারিখের শবে বরাতে আল্লাহ আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। এ রাতে তিনি তার সৃষ্টি জগতের সবার অতীতের কর্মকাণ্ড আমলে নিয়ে আগামী বছরের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
এদিকে বে বরাতে ঘরে বসে ইবাদত বন্দেগী ও জিয়ারত করার আহবান জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। একই সাথে জমায়েত বা লোক সমাগম করে মিলাদ মাহফিল না করার আহবান জানান তিনি।
গত শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নবীজি (স.) বলেছেন দুর্যোগের অবসর সময় যার যার ঘরে বসে ইবাদত পালন করার কথা। তাই, এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সবাইকে ঘরে বসে স্রষ্টাকে স্মরণ করাই উত্তম।
এছাড়া যারা শবই বরাতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে চাইছেন, তারা যেন নিজ নিজ এলাকার প্রতিবেশী, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সাহায্য করেন। এজন্য সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো ফান্ডে সেই সাহায্য প্রদানের প্রয়োজন নেই বলেও জানান মেয়র।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে মানবজাতির জন্য স্রষ্টার অশেষ কল্যাণ কামনা করে বিশেষ নামাজ, কোরআন পাঠ, জিকির ও অন্যান্য ধর্মীয় ইবাদত পালন করেন। তারা পুরো রাতই ইবাদতের মাঝ দিয়ে অতিবাহিত করেন।
এছাড়া এ রাতে মুসলিমরা নিজেদের আত্মীয় ও ধর্মীয় আলেমদের কবর জিয়ারত এবং সেই সাথে গরিব, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও স্বজনদের মাঝে মিষ্টি ও ঘরে তৈরি খাবার বিতরণ করেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে এবার নিজ নিজ বাসায় পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি সংস্থাটি জানায়, করোনা ভাইরাসের এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ আহ্বান জানাচ্ছে।