সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সেচ্ছায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের ৯টি গ্রাম।
এদিকে কমলগঞ্জে প্রশাসনিকভাবে পতনউষার ইউনিয়নের উত্তর পতনউষার গ্রামের চারটি বাড়িকে লকডাউন করে বাড়িগুলোতে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। এই চারটি বাড়িতে বেড়াতে আসা লোকজন পার্শ্ববর্তী রাজনগর উপজেলার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে আসায় সোমবার বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক সরেজমিন গিয়ে বাড়িগুলোকে চিন্থিত করে লকডাউন করেন।
অন্যদিকে কমলগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে লকডাউন করেছেন। গ্রামগুলো হচ্ছে কমলগঞ্জের সদর ইউনিয়নের বনগাঁও, শমশেরনগর ইউনয়িনের শিংরাউলী, মাধবপুর ইউনিয়নেরের মাঝেরগাঁও, শিমুলতলা, আদমপুর ইউনয়িনের তেতইগাঁও, ঘোড়ামারা, পশ্চিম কান্দিগাঁও, আলীনগর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর গ্রাম।
শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন অব. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এ গ্রামে ও রাস্তা ব্যবহার করে অবাদে ট্রাক ইট, বালু ও জিমর মাটি পরিবহন করে হচ্ছে। এ গ্রামে বহিরাগতদের রয়েছে আনাগোনা। গ্রামবাসীদের সু-রক্ষার চিন্তায় গ্রামের ছাত্র, যুবক ও তরুনরা স্বেচ্ছায় নিজ উদ্যোগে গ্রামের প্রবেশ পথে বাঁশ পুতে ব্যারিকেট সৃস্টি করা হয়েছে। বহিরাগতদের এসময়ে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে গ্রামের মানুষজন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বা জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে গেলে হাত মুখ ধুয়ে বাহিরে যাচ্ছেন আবার হাতমুখ ধুয়ে প্রবেশ করছেন। একই অবস্থা দেখা গেছে স্বেচ্ছায় লক ডাউন হওয়া অন্যান্য গ্রামেও।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক পতনউষার ইউনিয়নের উত্তর পতনউষার গ্রামের চারটি বাড়ির ৫টি পরিবারকে লকডাউনে রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেয়, এই পরিবারগুলো করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। তবে তারা করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে এসেছেন, আপাতত কিছুদিন আলাদাভাবে থাকতে হবে। সে জন্য এই চারটি বাড়িতে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে। আর কমলগঞ্জের বিভিন্ন ৫টি ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম স্বেচ্ছায় লকডাউনে যাওয়ার সত্যতাও তিনি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামবাসীর সুরক্ষা তারা নিজেরাই করছেন।