
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মৌলভীবাজারে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুই জনের মৃত্যুর পর আজ রবিরার এক কিশোরীসহ চারজনকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে জেলার রাজনগর উপজেলায় জ্বর নিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হলে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত তার পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ আবাসিক এলাকা থেকে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী নিমুনিয়ার লক্ষন নিয়ে হাঁসপাতালে গেলে তারা তাকে সিলেট শহীদ সামছুউদ্দিন হাসপাতালে রেফার করেন।
জনসাধারণের অনাকাঙ্কিত দূযোর্গ মোকাবেলায় যতক্ষন পর্যন্ত ওই কিশোরীর পরীক্ষা পূর্বক কোন তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা ততক্ষন পর্যন্ত ওই এলাকায় জনচলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং ওই পরিবারের বাড়ির রাস্তায় চলাচল না করার জন্য লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে ওই গল্লির ৮টি বাসার ১৩৪জনকে হোমকেয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
একই সাথে বড়লেখা উপজেলার এক যুবক ভারত থেকে দেশে আসলে তার ড্রাইভার ও ভাইসহ সিলেট সামছুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ।
এছাড়াও জেলার রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজারের একামধু ভাঙ্গার হাঠ গ্রামের জ্বর নিয়ে সঞ্চু মিয়া নামে এক যুবকের মৃত্যু হলে প্রশাসন তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করেছে। একই সাথে শতর্কতার জন্য রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই মৃত ব্যাক্তির বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।
অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল মুসলিমবাগ এলাকায় কিডনী জনিত সমস্যার সাথে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূ মারা গেছেন।
একই সাথে পরীক্ষার জন্য আরও ২০ জনের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্য্যালয়।
এছাড়াও জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ১৩৩ টি আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর রবিবার পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়রেন্টাইনের আওতায় আনা ৮৬৩ জনের মধ্যে ৬শত ৬ জনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ হয়েছে যাদের মধ্যে কোন প্রকার করোনা লক্ষন পাওয়া যায়নি।