নিজস্ব প্রতিবেদক:: অবশেষে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরীক্ষা।
ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সনাক্ত মেশিন ও ল্যাব স্থাপনের কাজ ৮০% ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
তাই পরশু (আগামী মঙ্গলবার) থেকেই শুরু হবে সিলেটে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা।ত
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায়।
তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) থেকেই সিলেট ওসমানী করোনা শনাক্তকরণ টেস্টের কার্যক্রম শুরু হবে। এর মধ্যেই সংশ্লিস্ট নার্স, চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে।
রবিবার (৫ এপ্রিল) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। তারা চূড়ান্তভাবে মেশিনটি চালু করবে এবং ল্যাব টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দেবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে ইতোমধ্যে করোনা পরীক্ষার ৫০০ কিট এসেছে। মেশিন সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান আরও ৪৫০০ কিট দেবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩০ মার্চ) করোনাভাইরাস পরীক্ষার আরটি-পিসিআর মেশিন ও সরঞ্জাম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, সিলেটে একসাথে ৮ জন রোগীর নমুনা মেশিনে পরীক্ষা করা যাবে। এই ৮ জনের ফলাফল একই সাথে বের হয়ে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেউ সরাসরি ওসমানী মেডিকেল কলেজে এসে পরীক্ষা করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা যাকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করবেন এবং পরীক্ষার প্রয়োজন মনে করলে শুধু তাকেই পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা মেশিন সচল থাকলে ২০০ জনের পরীক্ষা করা যাবে এই মেশিন দিয়ে। করোনাভাইরাস সন্দেহে কোনো ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে এটি পাঠানো হবে। মেশিনে পরীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার পর এক ঘণ্টার ভেতরে চলে আসবে ফলাফল। তখনই জানা যাবে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ মিলিয়ে এই চার জেলার লোকদের পরীক্ষা করা হবে ওসমানী মেডিকেল কলেজে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের পর থেকে পরীক্ষার ল্যাব না থাকায় প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। কেননা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো ঢাকায়। পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট আসতে সময় লাগে ২-৩ দিন।
এরমধ্যে ঢাকার বাইরে কয়েকটি স্থানে করোনা পরীক্ষার ল্যাব তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় আইইসিডিআর। কিন্তু ঢাকার বাইরে যে তিনটি স্থানে ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয় সেই তালিকায় ছিল না সিলেট।
পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মাত্র কয়েকদিনেই সেই ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ফলে এ সপ্তাহ থেকে আর করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা পাঠাতে হবে না ঢাকায়।