নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ। এই সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরুর চালান আসার খবর যেমন নিত্যদিনের ব্যাপার।
ঠিক তেমনিভাবে মাদকদ্রব্যও আসে অহরহ। পুলিশের সোর্স, পেশাদার বুঙ্গারীরাই এসব ভারতীয় পণ্য সিলেটের মাটিতে নিয়ে আসেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন এর নির্দেশে এই এলাকায় অনেক অভিযান হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অনেক মাদক কারবারি।
অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলমান দেশের পরিস্থিতিতে এই উপজেলার খাগাইল গ্রাম যেনো অন্য রূপ নিয়েছে।
এই এলাকার বাসিন্দারা মানতে রাজি নয় যে মরণব্যাধি করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
সেই সাথে সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বজায় দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য রাখার জনগণের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লকডাউন চলছে।
বাসা-বাড়ি থেকে যাতে কেউ বের না হন।
সম্প্রতি সিলেটের অনেক স্থানে ওপেন হাট-বাজারর মানুষের উন্মুক্ত চলাফেরা। দলবেধে বাজারে আড্ডা। কে শুনে কার কথা?
সিলেটের বার্তার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র।
সিলেটের বিমানবন্দর সড়ক থেকে শুরু করে সালুটিকর। খাগাইল নামক স্থান থেকে শুরু করে গোয়াইনঘাট পর্যন্ত।
দিনে এক চিত্র। আর পাল্টে যায় অন্য চিত্র।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বসে মাদকের হাট।
ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ হরেকরকম মাদকদ্রব্য কেনাবেচা চলে।
এই রুট যেনো মাদক ব্যবসায়ী আর মাদকসেবীদের নিরাপদ রুট।
বিমানবন্দর সড়ক, কোম্পানীগঞ্জ হয়ে বউবাজার পর্যন্ত ভারতের সীমান্ত দিয়ে আসে এসব মাদকের চালান।
এসসব মাদকের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে ছিলেন
সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দীন আহমদ।
গত কিছুদিন আগে এসপির নির্দেশে চলে সাড়াশি অভিযান। আটক করা হয় মাদকের বড় বড় চালান।
কিছুদিন ওরা (মাদক কারিবারি) জেল থেকে বেরিয়ে এসে ফের নামে তাদের পুরনো দ্বান্দায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেটের কিছু নামদারি রাজনৈতিক নেতাদের নাম ব্যবহার করে চলে ওপেন ফেন্সিডিলের কারবার।
এতে সাধারণ যুবক থেকে শুরু করে আইনের মানুষও সাথে যুক্ত আছেন।
এমন তথ্য বেরিয়ে আসে সিলেটের বার্তার অনুসন্ধানে।
এ ব্যাপারে এসপি ফরিদ উদ্দীন এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এছাড়া সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মহিউদ্দিন সেলিমকেও কল দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেন নি।
বিস্তারিত আসছে ২য় পর্বে। চোখ রাখুন সিলেটের বার্তায়।