লিটন পাঠান মাধবপুর থেকে:: মরণব্যধি করোনা ঝুঁকিতে দেশ। যখন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে লোকসমাগম এড়িয়ে চলার তখন উপেক্ষিত হবিগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা।
হবিগঞ্জের মাধবপুর বাজারে জনতার উপচে পড়া ভীড় জমছে। এখানে কেউ ব্যবহার করেনা মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার।
সারা পৃথিবীতে চলছে করোনা ভাইরাস এর আতংক। কিন্তু মাধবপুর বাজারের দৃশ্য দেখলে বুঝা যায় যে এখানে যেনো চলছে উৎসব।
মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে মাধবপুর বাজারে দেখা যায় বিভিন্ন স্থান থেকে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকে করে মাছ নিয়ে আসা হয়েছে।
মাধবপুর বাজারে আড়ৎদাররা সেই মাছ নিলামে তুলছেন আর পাইকাররা কার আগে কে কিনতে পারেন তার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
অনেকে ব্যক্তিগত ভাবেও পাইকারদের সাথে প্রতিযোগিতা করছেন সেখান থেকে ক্রয় করার পর পাইকাররা খুচরা বিক্রির জন্য তাদের নির্ধারিত আসনে বসছেন।
সময় বাড়ার সাথে সাথে নিলামের ভীড় কমলেও পাইকারদের কাছে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে মাধবপুরের অধিকাংশ লোকজনই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। নেই কোন স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা সাগর মিয়া নামে এক পাইকার জানান, এখানে মাছ ক্রয় বিক্রয় করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন বাজারে না আসলে পরিবার চলবে কিভাবে এই চিন্তায় তিনি সকলে চলে আসেন বাজারে।
আড়ৎদার নোপাল দাস জানান মাধবপুর হাওরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাধবপুর বাজারে মাছ আসে স্থানীয় পাইকারদের পাশাপাশি বাহিরের পাইকাররাও মাধবপুর বাজারে আসেন ফলে একটু ভীড় বেশী হয়।
এদিকে মাধবপুর সবজির বাজারে এলাকার চাষীরা সকাল থেকে শুরু করে বাজারে আসা সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে পাইকারদের সমাগম থাকে সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভীড়।
তবে অধিকাংশ লোকজনের নেই কোন মাস্ক নেই কোন হ্যান্ড সেনিটাইজার এর ব্যবস্থা মাধবপুর উপজেলার গ্রামে থেকে আসা কৃষক মনজুর আলী জানান বাজারে তার উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে।
বাড়ীর জন্য জিনিসপত্র ক্রয় করেন মাস্ক ব্যবহার না করার কারন জিজ্ঞেস করলে বলেন জমিতে কাজ করার সময় মাস্ক পড়তে অসুবিধা হয় আর সব সময় এটি ব্যবহার করা সম্ভব হয়না দম বন্ধ হয়ে আসে।
বাজারের পাইকার জান্নাত মিয়া জানান, এখানে কেউ করোনা সম্বন্ধে কিছু বোঝে না তারা সবজি আবাদ করে বাজারে নিয়ে আসে আর কোন খবর তারা রাখে না এদিকে
মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট সময়ে তদারকি করছে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে পাড়ায় পাড়ায় লোকজনের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।