বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে সারাদেশের মতো সিলেটেও উদ্বেগ বাড়ছে।জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। নগরের ব্যস্ততম এলাকা এখন জনশূন্য। বন্ধ রয়েছে শপিং মল ও মার্কেট।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে বন্ধ হয়েছে গণপরিবহন চলাচলও। ফাঁকা সিলেট নগরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক সঙ্গ নিরোধ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে সিলেট নগরসহ সিলেট জেলার সর্বত্রই টহল দিতে দেখা যায় সশস্ত্র বাহিনীকে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে তারা জেলা ও বিভাগীয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, গত মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে এক জরুরি মিটিং হয়। তার পরদিন (বুধবার) থেকেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নেয়। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে টহল দিচ্ছে তারা।
সিলেট নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, আম্বরখানাসহ মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীকে টহল দিতে ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিতে দেখা যায়।
এদিকে, সেনাবাহিনী ছাড়াও সিলেটে জনসমাগম রোধ করতে পুলিশেরও টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানালেন সিলেট মেট্রোপলিটন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত কার্যক্রমেই আমরা এ পরিস্থিতিটা মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশও সিলেটে বিশেষভাবে টহল দেবে- যাতে জনসমাগম বৃদ্ধি না করার সরকারি নির্দেশটা কার্যকর হয় এবং সিলেটে ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসটার সংক্রমণ না ঘটে।