নিজামুল হক লিটন:: ‘হুনচো নি’, ই এখ বিনাশি খতা।
অবায় চাও, হুনচো নি কুন্তা? অমুক জাগাত নু এখ বাচ্চা জন্মিয়াও ‘লাল ছা’ খাইবার খতা খইছে। ছিনি ছাড়া খাইলে, করোনা তাকি বাছা যাইবো।
অকান খইয়াও মরি গেছে।
হুনা মাত্র খানে খানে ইন্টারনেটর গতি তাকি আরো বেশি রেইছে সব জাগাত পৌছি গেছে।
বেটিনতে মুবাইল করি করি তারা আরো বেশি অউ খবর পৌছাইছইন।
‘হুনছো’ নি? ইকানে বিনাশ অই গেছে ছিলেটো।
লাল ছা’র বানাইয়া খাওয়ার দুম ফরছে রে বাবা।
খতা খানর কোন আগাগুড়ি নাই। এরফরেও বিনাশ। সিলেটের বার্তা ই খবরের ফিছে কিতা অনুসন্ধান ছালায়।
করোনা থেকে মুক্তি পেতে হলে ‘রঙ’ চা খান। চিনি ছাড়া’ এমন বার্তা দিয়ে নবজাতক নাকি মারা গেছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নিবৃত পল্লী থেকে খবরটি সিলেট শহরে পৌছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুরে নাকি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাকি একটি নবজাতকের জন্ম হয়েছে।
সে মুখ ফুটে এমন কথা বলার পরপরই মারা যায়। ছড়িয়ে এমন খবর। বিষয়টি সত্যতা জানতে এই প্রতিবেদকের কাছে অনেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন।
করিম উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আফজল হােসেন বলেন, আল্লাহ চাইলে সবকিছু পারেন। তবে সত্যতা কতটুকু কে জানে? এমন খবর গুজব নাকি আজব ব্যাপার।
রঙ চা পান করাতে তো অসুবিদে নেই। তবে গুজবে কান না দেয়াই ভাল।
জগন্নাথপুর এর বাসিন্দা গোলাম সারোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামে এমন খবর তো দুরের কথা কোনো নবজাতকের জন্মই হয়নি। এটা নিছক একটি গুজব মাত্র।
এব্যাপারে মুফতি নুরুল আমীন শ্যামল সিলেটকে বলেন, গুজব যা মিথ্যার সমান অপরাধ। অনেকের মধ্যে নিজের বিশ্বাস প্রচারের প্রবণতা দেখা যায়, যারা প্রচারিত কোনো সংবাদ নিজের মত, মতবাদ ও দৃষ্টিভঙ্গির অনুকূলে হলে তা যাচাইয়ের প্রয়োজন বোধ করে না। পাওয়ামাত্রই প্রচার শুরু করে। ইসলাম এই প্রবণতা পরিহারের নির্দেশ দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯২)
সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো খবর নেই। তিনি সিলেটবাসীকে কোনো প্রকার গুজবে কান না দিতে আহবান জানান।