আজ মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ১০:১১

খবরের কাগজে করোনাভাইরাস নেই: নোয়াব

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত মার্চ ২৬, ২০২০, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ
খবরের কাগজে করোনাভাইরাস নেই: নোয়াব

সিলেটের বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস এর কারণে সম্প্রতি খবরের কাগজ স্পর্শ করা থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন অনেকে।

রীতিমতো এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন অনেকে। অনেকে আবার সংবাদ বিক্রেতাকে খবরের কাগিজ দিতে মানাও করে দিয়েছেন।

এনিয়ে সিলেটের বার্তা টুয়েন্টি ফোর ডটকমে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়

করোনা: সংবাদপত্র বিক্রেতাদের মাথায় হাত (ভিডিও)

ছাপা সংবাদপত্রের কাগজে করোনাভাইরাস টিকে থাকার কোনো তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া যায়নি।

গতকাল বুধবার নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কে নোয়াব আরও বলেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো মোড়ক গ্রহণ করা নিরাপদ কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিবিধ তাপমাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা পণ্যবাহী মোড়ক থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও যৎসামান্য। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, কাগুজে পত্রিকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা নেই।

নোয়াবের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ আতঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছে। এই আতঙ্কের বোধগম্য কারণ আছে। মানুষ এমন একটি জীবাণুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। ফলে এই জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার যে ব্যাপ্তি এবং মৃত্যুর যে ক্রমবর্ধমান সংখ্যা, তার বিপরীতে জীবাণুটির গতিপ্রকৃতি এবং এতে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা এখনো চলমান। এই স্পর্শকাতর সময়ে গভীর সহমর্মিতায় নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সবার সঙ্গে আন্তরিক একাত্মতা প্রকাশ করছে।

এটি একটি দুর্যোগের মুহূর্ত—শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য। আমরা প্রত্যয় ও গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, এ দেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক, সামাজিক বা প্রাকৃতিক যেকোনো জাতীয় দুর্যোগে সংবাদপত্র সব সময় মানুষের পাশে ছিল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ও বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো পাঠকদের জন্য সহায়ক এবং প্রতিকার ও সচেতনতামূলক তথ্য প্রকাশ করে আসছে। করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান গবেষণা, নিত্যনতুন স্বাস্থ্যবিধি ও আচরণীয় এবং সফলতার ঘটনাগুলো পত্রিকাগুলো প্রকাশ করে আসছে।

আরও পড়ুন:  পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে সিলেটে বিএনপির মানববন্ধন

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, মানুষের দুর্বলতার এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য পরিস্থিতি আরও নাজুক করে তুলছে। কাগজ থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে, এমন অনুমানে কিংবা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে অনেকে পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকছেন। প্রকৃতপক্ষে এই অনুমানের কোনো গবেষণালব্ধ ভিত্তি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন তাদের গবেষণায় দেখেছে, করোনাভাইরাস বাতাসে বেঁচে থাকে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডে এক দিন এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে দুই থেকে তিন দিন। কিন্তু নানা ধরনের করোনাভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণারত জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ক্যারোলাইন ম্যাখামার ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে বলেছেন, নানা বস্তুতলে যে ভাইরাস টিকে থাকে কথাটা শুনতে ভীতিকর শোনালেও সেখানে তারা টিকে থাকতে পারে অত্যন্ত কম, মাত্র এক হাজার ভাগের এক ভাগ (০.১%)। বস্তুতল থেকে এ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় নেই।

তবে কাগজে করোনাভাইরাস টিকে থাকার কোনো তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো মোড়ক গ্রহণ করা নিরাপদ কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিবিধ তাপমাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা পণ্যবাহী মোড়ক থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও যৎসামান্য। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, কাগুজে পত্রিকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা নেই।

তা সত্ত্বেও নোয়াব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এর সব সদস্য পত্রিকার পক্ষ থেকে পত্রিকার এজেন্ট ও হকারদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নোয়াবের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ঢাকা নগরসহ সর্বত্র এজেন্ট ও হকারদের মধ্যে মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। নোয়াবের পক্ষ থেকে এজেন্ট ও হকারদের জন্য এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।

আরও পড়ুন:  করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ৯ দিনে হাসপাতাল নির্মাণ করল যুক্তরাজ্য

এ রকম এক সময়ে সঠিক তথ্য জানা এবং জানানোটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার সেরা উপায় একেবারে সাম্প্রতিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যে নিজেকে প্রস্তুত রাখা। পত্রিকায় খবর পরিবেশন একটি পেশাদারি কাজ। খবর ছাপানোর আগে অভিজ্ঞ কর্মীদের মাধ্যমে নিবিড় যত্নের সঙ্গে তথ্য যাচাই ও বাছাই করা হয়। নির্ভরযোগ্য যেকোনো তথ্যের জন্য পত্রিকাই বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। করোনাভাইরাস নিয়ে এই দুর্যোগের সময়েও প্রকৃত সুরক্ষা, সতর্কতা ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পত্রিকাই পাঠকদের পাশে জাগ্রত বন্ধুর মতো তৎপর রয়েছে।

সবার সুস্থতা, নিরাপত্তা ও মঙ্গলই আমাদের কাম্য। সবাইকে আমরা পত্রিকা পড়ার জন্য আহ্বান জানাই।

 

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১