
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ:: সুনামগঞ্জে মোবাইলকাের্টের অভিযান পরিচালনার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের বাঁধা প্রদানের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে বাজার ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজ সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনিয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির পর উপজেলা প্রশাসনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে বাংলা টিভির জগন্নাথপুর প্রতিনিধি গোবিন্দ দেব, দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার জগন্নাথপুর প্রতিনিধি গোলাম সারোয়ার, ক্রাইম ওর্য়াল্ড পোর্টালের জগন্নাথপুর প্রতিনিধি সুজাত আলী, দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ পত্রিকার জগন্নাথপুর প্রতিনিধি দুলন মিয়া ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করতেছিলেন।
এ সময় রাফি এন্টারপ্রাইজে ৩০ হাজার টাকা, বিমল স্টোরে ৩০ হাজার টাকা ও কলিম স্টোরে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। অভিযানে জগন্নাথপুর থানার এসআই দিপংকর সরকার, পাইলগাঁও ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র পুরকায়স্থ, উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো, জহুর আহমদ সহ প্রশাসনের অন্যন্যে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনটি দোকান অভিযান পরিচালনা করে মধ্য বাজারের মেসার্স পলাশ ট্রেডার্সে উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাতের সাথে উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা প্রবেশ করলে দোকানের মালিক ধনেশ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় এ দোকানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মালামাল সঠিক মেয়াদ, পরিস্কার পরিছন্ন ভাবে রাখতে বলেন।
বাজারের ক্রেতারা জানান, বিভিন্ন সময় সরকারী মাল সাধারন জনতা না পেয়ে রাতের আধারে বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করছেন এ ব্যবসায়ী। সার, বীজ, কিটনাশক সহ বিভিন্ন পন্য বেশি দামে বিক্রয় করে থাকে। বড় সিন্ডিকেটে থাকায় সাধারন ক্রেতা ভয়ে কিছু বলতে পারেনা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা সব সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সময় সাংবাদিকদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাথে দেখি। আজ এমন কি হল দোকানে প্রবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছেন। আসলে ঘটনা কি তলের বিড়াল বাহির হওয়ার সম্ভনা আছে নাকি? তারা অতীতের কর্মকান্ড বাহির করে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে।
এ সময় জেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাতকে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে সাংবাদিকরা থাকতে পারবে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি জানান, অভিযান পরিচালনায় সময় সব সাংবাদিক থাকবে। এটা কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।