প্রধানমন্ত্রী আইসিটি পছন্দ করেন তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের আইডিয়া উল্লেখ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘এখন আইসিটির যুগ।
শেখ হাসিনার নেতৃতে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আইসিটির অবদান অনেক। শুরু থেকেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী আইসিটি খুব পছন্দ করতেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের ইশতিহারে বলা হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের আইডিয়াও প্রধানমন্ত্রীর মাথা থেকে এসেছে। এই আইসিটির কল্যাণে ২০৪০ সালের মধ্যে এই দেশ সমৃদ্ধ হবে। আমি সেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।’
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ‘শিল্প ও বাণিজ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের চতুর্থ দিনে আজ মঙ্গলবার এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ধারাবাহিক এই অনুষ্ঠানের আজ ৪র্থ দিনে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রিকাবিবাজারস্থ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সিলেট চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নিবেদনে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সিলেট চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু তাহের শোয়েবের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট উইমেন চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘রক্তপরাগ’ নামক সংকলনের জন্য সভায় সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বার পরিচালক মুশফিক জায়গিরদার। কোরাআন তেলোয়াত করেন শেখঘাট জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারি মাওলানা শেখ ছাদিকুর রহমান।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল গ্রিন ডিজেবল ফাউন্ডেশন, সারেগামাপা, তারুণ্য। একক পরিবেশনায় ছিলেন অংশুমান দত্ত, বাউল কালা মিয়া, নাসরিন চৌধুরী ডায়না, অভিজিৎ তরফদার, রুমানা সুলতান কিরণ প্রমুখ।
আয়োজনের ৫ম দিন বুধবার (১১ মার্চ) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নিবেদনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে। ওই অনুষ্ঠানে সিলেটের সর্বস্থরের মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজকবৃন্দ।