
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের মাঠে নান্দনিক ব্যাটিং করেছেন লিটন দাস। তার পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ৬উইকেটে অর্জন করেছে ৩২১ রান।
শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুন আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তুললেন ছোটখাটো ঝড়। বাংলাদেশ চড়ে বসলো রানপাহাড়ে।
সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ উইেেকট ৩২১ রান করেছে বাংলাদেশ। এটাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩২০ রান, ২০০৯ সালে করেছিল বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বেলা ১টায় শুরু হয় ম্যাচটি। টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তামিম ইকবাল শুরু থেকেই মন্থর ব্যাটিং করছিলেন। রান পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছিল তাঁকে। দলীয় ৬০ রানে তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত অফ স্পিনার কার্ল মুম্বার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৪৩ বলে দুটি চারে ২৪ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। মুম্বার আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেওয়ার পর রিভিউ নেন তামিম। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল আঘাত হানতো মিডল-লেগ স্টাম্পে। তামিম আউটই থাকেন, রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।
তামিম ফিরে গেলেও উদ্বোধনী জুটিতে তাঁর সঙ্গী লিটন দাস দারুণ সব শটে রানের চাকা সচল রাখেন। ৪৫ বলে ফিফটিতে পৌঁঁছান এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯৫ বলে। ১০টি চার আর ১টি ছয়ে সাজানো ছিল তাঁর দুর্দান্ত এই সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর যখন আরো দ্রুত রান বাড়ানোর তাগিদ দেখা যাচ্ছিল লিটনের ব্যাটে। কিন্তু পায়ের মাংশপেশির টান তাঁকে বেশ ভোগাচ্ছিল। ইনিংসের ৩৬.২ ওভারে মাধেভেরেকে মিড উইকেট দিয়ে উড়ানোর পর আর পারলেন না। মাঠ ছাড়লেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ১০৫ বলে ১৩টি চার আর ২টি ছয়ে ১২৬ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। তাঁর আগের ক্যারিয়ারসেরা রান ছিল ১২১, ভারতের বিপক্ষে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে।
লিটনের সেঞ্চুরি পূর্ণ করার ওভারেই মুশফিকুর রহিমকে হারায় বাংলাদেশ। তিরিপানোর বলকে থার্ডম্যান দিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার মুটুম্বামির হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক (১৯)। দারুণ খেলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪ হাজার রানও পূর্ণ করেন এই ম্যাচে। তামিম, সাকিব আর মুশফিকের রান ছয় হাজারের বেশি। মাহমুদউল্লাহকে রিভিউ নিয়ে ফেরায় জিম্বাবুয়ে। এমপফুর বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউয়ে দেখা যায় বল আঘাত হানতো মিডল স্টাম্পে। ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (২৮ বলে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ৩২ রান)।
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই রান বাড়ানোর দিকে মনোযোগী ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। দারুণ সব শটে ৫টি চার আর ১টি ছয়ে ৪০ বলে নিজের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন। তবে এমপফুর করা ওই ওভারের পরের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ এসে টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
ইনিংসের শেষ ওভারে ঝড় তুলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গেল বছর জুনে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা সাইফউদ্দিনের তোপে পড়েন জিম্বাবুইয়ান পেসার ক্রিস এমপফু। তাঁর ওভারের দ্বিতীয়, চতুর্থ আর পঞ্চম বলে ছয় হাঁকানা সাইফউদ্দিন। ওই ওভার থেকে আসে ২২ রান।
সাইফউদ্দিন অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৮ রানে। বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ৩২১ রান।