
আন্তর্জাতিক বার্তাঃ ভারতের মুখ্যমন্ত্রী নবিন পট্রনায়কের বাড়িতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর আনন্দ বাজার পত্রিকার।
মুখোমুখি হলেন তাঁরা। পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে কথাও হল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলাদা করে কোনও বৈঠক হল না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আসরও প্রায় নীরবেই মিটে গিয়েছে বলে খবর। সিএএ, এনআরসি বা এনপিআর নিয়েও কোনও কথা এই বৈঠকে হয়নি বলে মমতা জানিয়েছেন।
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল বা পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক এ বার ভুবনেশ্বরে নির্ধারিত ছিল। বৈঠকে যোগ দিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি-ই ওড়িশা পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা। পুরী গিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে পুজোও দিয়েছিলেন এর ফাঁকে। পুজো দিয়ে বেরিয়ে জানিয়েছিলেন, শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন। শুক্রবার বৈঠক সেরে বেরিয়েও জানালেন যে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। দেশের রাজধানীতে যে হিংসা গত কয়েক দিনে দেখা গিয়েছে, তা যাতে দেশের অন্য কোথাও প্রভাব না ফেলে, সে দিকে সকলের নজর রাখা উচিত বলে ভুবনেশ্বরে এ দিন মন্তব্য করেছেন মমতা।
অমিত শাহের পৌরোহিত্যে হওয়া বৈঠকে এ দিন যাঁরা আমন্ত্রিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়কের গুরুত্ব জাতীয় রাজনীতিতেও যথেষ্টই। ওড়িশার রাজনীতি ছেড়ে দিল্লির সমীকরণ নিয়ে নবীন খুব একটা মাথা ঘামাতে যান না ঠিকই, কিন্তু লোকসভা ও রাজ্যসভায় তাঁর দলের সাংসদ সংখ্যা কম নয়। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর সময়ে নবীনের গুরুত্ব বেড়ে যায়। আর মমতা এবং নীতীশ নিজেদের রাজ্য সামলানোর পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণেও বরাবর সক্রিয় ভূমিকা নেন। সিএএ, এনপিআর, এনআরসি ইস্যুতে গোটা দেশের রাজনীতি যখন উত্তাল, তখন এত জন আঞ্চলিক মহারথীর সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠক কোন পথে এগোয়, সে দিকে প্রায় গোটা দেশেরই নজর ছিল। কিন্তু সিএএ, এনপিআর, এনআরসি নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে এ দিন কোনও কথাই হয়নি।