

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জ্বলছে দিল্লি, আক্রান্ত মানবতা, বিপন্ন মুসলিম উম্মাহ। গোটা দিল্লি যেনো মৃত্যুপুরিতে রূপ নিয়েছে। মসজিদের মিনার ভাঙচুর, আগুন। বেছে বেছে মুসলিম নির্যাতন। এসব কিছুর পরও নিরব মোদি সরকার। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট।
বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ক্ষোভের আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে নরেন্ত্র মোদির কুশপুত্তলিকাকে।
ভারতে মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন সিএএর’র প্রতিবাদ করায় দেশটির রাজধানীতে হিন্দুত্ববাদীদের সহিংসতা, মুসলিম গণহত্যা-নির্যাতন ও মসজিদ-মিনারে অঙ্গিসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্র“য়ারি) বাদ আছর বন্দরবাজার দলীয় অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি পয়েন্টে গিয়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জমিয়তের নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা আবু জাহেলের উত্তরসূরী সন্ত্রাসী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করে তার দুগালে জুতা নিক্ষেপ করেন।
জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মো. ফরহাদ আহমাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লুকমান হাকিমের পরিচালনায় সমাবেশে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, চা বিক্রেতা মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন যোগ্যতা রাখে না। তবুও স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নিরীহ মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। নির্বিচারে গুলি করে মারছে। মসজিদ-মাদ্রাসা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, মিনারে হনুমানের পতাকা লাগিয়েছে। এসব কাজ বিশ্বের ৪০০ কোটি মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। বক্তারা বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, অসাম্প্রদায়িক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে কসাই ও সন্ত্রাসী মোদিকে অতিথি করা হয়েছে। মোদি এদেশের মাটিতে পা রাখতে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। প্রয়োজনে এদেশের মাটিতে আবারও বদরের যুদ্ধ হবে। কোন অবস্থাতেই মোদিকে পবিত্র বাংলার মাটিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
মিছিল সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সালিম ক্বাসেমী, জেলার প্রচার সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা রশিদ আহমদ বিশ্বনাথী, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা কবির আহমদ, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আখতারুজ্জামান, মো. রুহুল আমিন নগরী, জেলা যুব জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রায়হান উদ্দিন, মহানগর ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান, জেলার সহ সভাপতি হাফিজ ফয়েজ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক এহিয়া হামিদী, মাহদি হাসান মিনহাজ, মাওলানা কাওছার আহমদ, নুমান সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহমদ, মাসরুর আহমদ, আবু বকর সিদ্দিক, ছাত্রনেতা হুসাইন আহমদ, আব্দুল হাই আল হাদী, কবি মীম সুফিয়ান, মিসবাহ উদ্দিন রুকন, আব্দুল মজিদ আল হুসাইন, কামরুল ইসলাম প্রমুখ ।