নিজস্ব প্রতিবেদক:: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সবদেশে। এই করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সিলেট ও মৌলভীবাজারে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে মোট ১১জনকে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সিলেটে ৩জনকে ও মৌলভীবাজারে ৮জনকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সিলেটের দু’জন প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। পরে তাদেরকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
তিনি জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন ফ্রান্স প্রবাসী। তিনি গত ৪ মার্চ দেশে আসেন। এর পর থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভোগছিলেন। বৃহস্পতিবার থেকে তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখা উপজেলায় ৮জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে গভীর পর্যবক্ষণে রাখা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এদের মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৬ জন ও বড়লেখা উপজেলায় ২ জনকে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রবাসিদের মধ্যে ভাইরাস জনিত কোন সমস্যা আছে কিনা সেটার জন্য তাদেরকে নিজ বাসায় ‘হোম কোয়ারেন্টানে’ থাকতে বলা হয়েছে। সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল স্যাম্পল নিয়ে যাবেন।
সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, শনিবার একজন সৌদিআরব থেকে আসেন। আজকে তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার জ্বর ও কাশি আছে। এছাড়া আরেক ব্যক্তি কয়েক দিন আগে ইতালিফেরত এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করার পরে জ্বরে আক্রান্ত হন। শনিবার থেকে তিনি হাসপাতালে আছেন। তবে ওই ইতালি প্রবাসী ভালো আছেন।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র আরো জানান, এ তিন ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, রক্তের নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর কিছ ক্রাইটেরিয়া আছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিলেটে আরব আমিরাতফেরত এক পুরুষ ও সৌদিফেরত এক মহিলাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তবে তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস না পাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়।