
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ছোটবোনের সাথে জুবায়ের নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের বিরোধেই খুন করেন জাহেদ সাথে ৬জন সহযোগি নিয়ে।
৪বছর ৮মাস ফেরারি থাকার পর অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দক্ষিণ রাইকদ্বাড়া (থৈগাও) গ্রামে। ওই গ্রামের আতিক মিয়ার ছেলে জাহিদকে শুক্রবার আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার ছিলমানপুর (কাশিকাপন) গ্রামের মৃত নেপুর মিয়ার ছলে জুবায়ের আহমদকে খুন করে। একই বছরের জুন মাসের ২৬ তারিখ দক্ষিণ রাইকদ্বাড়া মকসুদ আলীর পুকুরে জুবায়েরের অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়।
মৃত জুবায়ের আহমদের সাথে আসামী জাহেদ মিয়ার ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্কের বিরোধকে কেন্দ্র করে খুন করা হয়। খুনের ঘটনার সাথে জড়িত ছিল জাহেদ মিয়াসহ অন্যান্য সহযোগী ৬জন। খুনিরা তাদের বাড়ির পশ্চিম পাশের্^ ঈদগাহের সামনে জুবায়ের আহমদের হাঁত, পা বেঁধে নৃশংস ভাবে মারপিট করে জুবায়ের আহমদকে হত্যা করে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ রাইকদ্বারা গ্রামের মকসুদ আলীর পুকুরে তার লাশ গুম করে পালিয়ে যায়।
মামলাটি ওসামানীনগর থানা, পুলিশ ও সিআইডি, সিলেট কর্তৃক তদন্ত শেষে জাহেদ মিয়াসহ ৬ জনকে ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। এ ঘটনার পর হতে দুধর্ষ জাহেদ মিয়া আতœগোপনে চলে যায়। কিন্ত‘ তার শেষ রক্ষা হয়নি। বহু নাটকীয়তার পর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদ মোবারক এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাকে শুক্রবার গ্রেফতার করেন।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত-০১, সিলেট কর্তৃক গত ১৮/০৪/২০১৭খ্রিঃ তারিখে ইস্যুকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ১৩/০৩/২০২০খ্রিঃ তারিখ ওসমানীনগর পুলিশ টিমের জালে আটক হয়ে সে এখন শ্রী ঘরে।
ওসমানীনগর তানা ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, এ ঘটনার পর হতে দুধর্ষ খুনি জাহেদ মিয়া আতœগোপনে চলে যায়। অনেক চেষ্টা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।