
শিক্ষাঙ্গন বার্তা:: আগামীকাল বুধবার (১১ মার্চ) থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ।
ক্লাস-পরীক্ষা চালুসহ ৪দফা দাবিতে এ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গত ৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলমান আন্দোলনে কোন সমাধান না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাডেমিক ভবন এ’র সামনে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) এ কর্মসূচী ঘোষণা দেয় এ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা আমাদের সাথে একাধিকবার বসলেও এ ঘটনার কোন সমাধান দেয় নি।ফলে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষায় বিঘœতা ঘটছে। এর প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ও চার দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল এগারোটা হতে আমরণ অনশনে যাচ্ছি। এছাড়া ৪দফা দাবি মেনে নিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার প্রেক্ষিত উল্লেখ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ত্রিশ বছর পূর্তি উৎসবে বহিরাগত সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজের (এমসি কলেজ) এক শিক্ষক দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিভাগের কিছু শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে কোন বাধা প্রদান না করে উল্টো ঐ বহিরাগত শিক্ষককে উৎসাহিত করে।
এতে গত ২ মার্চ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে পূর্বের ঘটনার জবাবদিহিতা ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবি পেশ করে। দাবি পেশের পরদিন (৩ মার্চ) বিভাগের কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থী ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধানের রুমে তলব করা হয়। তলবকৃত শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের রুমে প্রবেশ করলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সেই রুমের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে কিছু শিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর জের ধওে কোন সুষ্ঠু সমাধান না করে গত ৪ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের নোটিশের মাধ্যমে বন্ধ করে দেন বিভাগীয় প্রধান। এর প্রেক্ষিতে বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা চালু ও ৪ দফা দাবি জানিয়ে লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বেগমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ব্যাপারে ফিজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আমি আলাদাভাবে বসেছি যেন অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত না হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।