সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাড়ে ৮শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এদিকে করোনা আক্রান্ত ইতালি ফেরত দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৪০জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান এবং জমায়েত সীমিত আকারে করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (০৯ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনাও দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১০২টি দেশের অন্তত সাড়ে তিন হাজার মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক কোটিতে পৌঁছেছে। রোববার (০৮ মার্চ) বাংলাদেশে তিনজন রোগী শনাক্তের পর ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এরই প্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসে করোনা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে কমিটি।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, তিনটি কমিটির মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৪০০-৫০০ বেড, জেলা পর্যায়ে ১০০ ও উপজেলা পর্যায়ে ৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যারা বাঙালি আসছে তারাই বহন করে আনছে, আগামীতেও তারা আসবে। তাদেরকে সবসময় বলে আসছি এই মুহূর্তে তারা যেন দেশে না আসে। দেশে থেকেও যাতে বেশি বেশি লোক না যায় আমরা এটাও চাই না। এবং যারা আসবে তারা যেন সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।
করোনার মৃত্যুর হার কম। তবে দ্রুত ছড়ায়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, করমর্দনের এখন দরকার নেই, এখন এটা আমরা পরিহার করবো। এখন আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠান পরিহার করা এবং গণ সমাগম হয় এমন জায়গায় না যাওয়া।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকেও সোমবার (০৯ মার্চ) আলোচনার মূল বিষয় দেশে ঢুকে পড়া করোনা ভাইরাস। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং এ স্বাস্থ্যসচিব আসাদুল ইসলাম করোনা নিয়ে কোনো ধরনের আতংক না ছড়ানোর আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমরা কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় গেছে, কোন বাজারে গেছে, কোথায় চা খেয়েছে। কাদের সাথে বসেছে এসব করে, প্রথম জনের জন্য ৪০ জনকে ট্র্যাক করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেছি।
আতংকিত না হয়ে নিয়ম মেনে জীবনযাপন করলেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বলেও জানান তারা।