সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: জাতির পিতা নেই, তবে আছেন প্রত্যেক বাঙালির অন্তরে অমর হয়ে। বঙ্গবন্ধু নেই, তবে বাংলার প্রত্যেক নাগরিকের অন্তরে আছেন বঙ্গবন্ধু।
আজ শনিবার ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক সেই ভাষণ দিয়েছে ক্ষুদে বঙ্গবন্ধুরা।
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বিভাগীয় শহর খুলনায় শনিবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়। অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল ১২৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পাঠ ।
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং চাইল্ড ইন্টিগ্রিটি ও শিশুবঙ্গবন্ধু ফোরামের ব্যবস্থাপনায় শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণের মধ্য দিয়ে। এরপরই দিনের প্রধান আকর্ষণ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ পাঠের পরে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সোনার বাংলা গড়ার শপথ পাঠ করাণ শিক্ষার্থীদের।
খুলনা স্টেডিয়ামে মুজিবকোট পরে শিশুরাএ সময় ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত থাকা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর এমন আটজন ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর খুলনা আঞ্চলিক প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকু এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু।
খুলনা স্টেডিয়ামে ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীরসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় খুলনা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দলীয় কার্যালয় সহ সকল ওয়ার্ডে এবং ইউনিট অফিসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার এবং সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা। সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২৯ নম্বও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম এ উপলক্ষে নগরীর মহসিন রোডে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নগরীর মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।