লিটন পাঠান, মাধবপুর:: নাম ইভা।বয়সে তারুণ্যের ঝিলিক। ইভার মতো আরো দশটি মেয়েকে কাজের প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। অবশেষে সোমবার ইভা ফিরেছে তার বাড়িতে। বাকিদের অবস্থা কী?
হবিগঞ্জের মাধবপুরের মেয়ে ইভা। পুরো নাম তানজিয়া আক্তার ইভা। সোমবার বিকেলে ট্রাভেল পারমিটে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যরা তাকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তানজিয়া আক্তার ইভা মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণ বেজুড়া গ্রামের নানু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ জানায়, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি ইভাসহ ১০ জনকে সীমান্ত পথে ভারত পাচার করে দেয় পাচারকারীরা। কিন্তু ভারত প্রবেশের সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। পরে বেঙ্গালরের তালাস ও বোম্বায়ের নবজীবন নামে দুটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। এক পর্যায়ে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিট আইনে গতকাল সোমবার তাদের বাংলাদেশে পাঠানো।
জাস্টিজ এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন বলেন ফেরত আসা ইভাসহ সকলেই নিকটতম স্বজনদের মাধ্যমে পাচারের শিকার হয়। তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তের পর যদি ভুক্তভোগী পরিবার কোন পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তাহলে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ইকবাল হোসেন বলেন এখনও আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন তথ্য আসেনি যদি তথ্য আসে তাহলে আইনী সহায়তা দেয়া হবে উল্লেখ্য-ইভার সাথে আরও ১০ কিশোর কিশোরীকে ভারতে পাচার করা হয়। তারা হলো ঢাকার হাজারীবাগের ফাতেমা আক্তার, শরিয়াতপুরের রেশমা কামরু খান মাগুরার বর্ষা রানী বিশ্বাস খুলনার অথই বিনতে হেনা রাজিয়া সুলতানা ও হোসনে আরা বেগম বগুড়ার রিতু পর্ণা এবং বাগেরহাটের জান্নাতুল ফেরদৌস ও শরীফা খাতুন