সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: আমার বাবা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সে হিসেবে আমরা বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে দিতেন না, সে কারণে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি প্রচারণা চালাতে সারাদেশব্যাপী তাকে ঘুরতে হয়। সে সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
রবিবার ঢাকায় জাতীয় বিমা দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ানোর তাগিদ দেন। তিনি বলেন, বীমার সকল কার্যক্রম ডিজিলাইজড করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, বীমার সকল হিসাব-নিকাশ অটোমেশন পদ্ধতিতে আনলে মানুষের আস্থা বাড়বে। আজ রবিবার দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বীমা দিবস-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবারের বীমা দিবসে পাঁচজন বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা হলেন- সাধারণ বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান খোদা বক্স, গোলাম মাওলা, বিজিআইসি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম এ সামাদ, জীবন বীমা করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম এবং ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফায়েত আহমেদ। যারা পদক পেয়েছেন তারা সবাই মরহুম। তাদের পক্ষে স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বীমার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন বলেই এ বিষয়ে তিনি ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। এছাড়া তিনি ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। বিমা একাডেমিতে লেখাপড়া করে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে। বীমার প্রসারের জন্য আমরা যুগোপযোগী আইন করেছি। আমরা ‘বীমা আইন ২০১০’, ‘বীমা উন্নয়ন আইন ২০১০’ ও ‘বীমা নীতিমালা ২০১৪’ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবীমা, শস্যবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা করা যেতে পারে। যে বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সাফল্য পাবে।
‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোববার দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে জাতীয় বীমা দিবস।
বীমাশিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন। পাঁচজন বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।