লিটন পাঠন, মাধবপুর প্রতিনিধি:: জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম সাল ১৯৫২। সে হিসেব অনুযায়ী সত্তর হতে বাকী দু’বছর। বয়সের ভারে তিনি এখন ন্যুজ্য। লাটিভর আর পরনির্ভর জীবন। দেহেতে নেই কাজে শক্তি। আর কতো বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবেন শহীদ মিয়া।
ভোট দিছি না, হের লাইগা ভাতা পাই না এ ভাবে কথা গুলো বলছিলেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মিঠাপুকুর গ্রামের শহীদ মিয়া। সংসার চালাতে এখন রাস্তায় নেমেছেন তিনি। সম্প্রতি মাধবপুর পৌর শহরে কথা হয় শহীদ মিয়ার সঙ্গে। ২ মেয়ে তার। এক মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধি। এক মেয়েকে কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন। এখন স্ত্রী সখিনা বেগম ও মানসিক প্রতিবন্ধি মেয়ে কে নিয়ে চলছে তার সংসার। জায়গা জমি বলতে বাড়ির ৩ শতক জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই ।
শহীদ মিয়া জানান, কয়েক বার মেম্বারের কাছে গেছি। বলছে ভাতার কার্ড কইরা দিব। এখনো পাইছি না। মেম্বার রে ভোট দিছি না দেইখা ভাতার কার্ড দিছে না। অনেকের বাড়ি,জমি আছে হেরা ভাতার কার্ড পাইছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. অহিদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , ভাতার তালিকায় নতুন করে তার নাম দেওয়া হয়েছে
আদাঐর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক পাঠান জানান, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা’র তালিকা করেন স্ব স্ব ওয়ার্ড মেম্বাররা। তারা তালিকা করেন ওয়েটিং লিষ্ট করেন। এই বৃদ্ধ লোকটি ভাতা না পেয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোলাইমান মজুমদার জানান, এই বৃদ্ধ মানুষ টি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। যদি তিনি ভাতা না পেয়ে থাকেন দ্রুত ভাতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।