
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের বিশ্বনাথে শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত ডাকাত সদস্যের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে।
তার নাম হচ্ছে ফটিক ওরফে লিটন। সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (উত্তরপাড়া) মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র।
শনিবার দুপুরে ডাকাত সর্দার ফটিকের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফটিকের লাশ দেখে তাকে সনাক্ত করেন।
উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের মরমপুর-সুরিরখাল এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় সড়কের পার্শ্বের গাছ কেটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ডাকাতদল।
শনিবার ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। এদিকে ডাকাত-পুলিশের গুলাগুলিতে ১৮টি মামলার আসামী ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বনাথ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজন সন্তেুাষ্টি প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় থাকা ১৮টি মামলার মধ্যে ১১টি ডাকাতির মামলা, ৩টি অস্ত্র মামলা, ১টি ছিনতাই মামলা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ১টি অন্যান্য মামলা। তার বিরুদ্ধে থাকা এসব মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
স্ত্রী কর্তৃক ডাকাত সর্দার ফটিক ওরফে লিটনের পরিচয় স্ত্রী সনাক্ত হওয়ার ও তার বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা থাকার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।