
লিটন পাঠান মাধবপুর প্রতিনিধি:: রমজানের শুরুতেই হবিগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্য।
জেলার মাধবপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে, পেঁয়াজ রসুন আদা ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে, সবজির দামও বেড়েছে বরাবরের মতো খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়ার জন্য পাইকারদের দোষারূপ করছেন।
পাইকারদের দাবি বাড়তি চাহিদার কারণে দর বৃদ্ধি হচ্ছে।
মাধবপুর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রবিবার (২৬-এপ্রিল) ঘুরে দেখা গেছে, রমজানে বেশি চাহিদার পণ্যের মধ্যে বাড়ছে মসলা জাতীয় কিছু পণ্যের দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা আগেছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহেও সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়েছিল। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে ১০ টাকা বেড়ে চীনা রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা এবং কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে বাজারে সপ্তাহখানেক আগে যে আদা বিক্রি হতো ১২০ টাকায় সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। পেঁয়াজের দর কেজিতে গড়ে ১০ টাকা বেড়েছে। রসুনের দামও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাধবপুর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, রমজানে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাড়তি চাহিদা রয়েছে। এই তিন পণ্য অনেকটা আমদানিনির্ভর। রমজানের আগে মাসের শুরুতে ৯ দিনের মধ্যে ৭ দিন ছুটির ফাঁদে ছিল এবং করোনা ভাইরাসের কারণে সরবরাহ কম হয়েছে। তা ছাড়া মাধবপুরে পণ্য সরবরাহ কম হচ্ছে।
এদিকে বাজারে রমজানের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পণ্য সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি, মাধবপুর বাজারে ক্রেতা আসা ডিএসবির এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম সুজন জানান, সংযমের মাসে পণ্যের দাম কমার কথা উল্টো পণ্যমূল্য বাড়ানোর সুযোগ নেন, ব্যবসায়ীরা। যৌক্তিক কারণ না থাকলেও অতি মুনাফার জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে।
এতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, এ বিষয়ে সরকারের বাজার তদারকি জোরদার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ বিষয়ে মাধবপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ সেলিম বলেন, রমজানে ১০ থেকে ১২ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এবার এসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ আছে। কোনোভাবেই দর বৃদ্ধির কথা নয়।
এর পরেও চাঁদাবাজি, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি, যানজট ও বন্দরে জাহাজজট এসব কারণে বৃদ্ধির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক ক্ষেত্রেই তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দরবৃদ্ধি করছেন এ বিষয়ে সরকারের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এতে দরবৃদ্ধি স্থায়ী হবে না, তিনি আরো জানান রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে একসঙ্গে বেশি পণ্য না কেনার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানান, টিসিবির সয়াবিন তেল প্রতিকেজি ৮৫ টাকায় খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল ১০৫ থেকে ৭ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় উঠেছে, টিসিবি খোলাবাজারে প্রতিকেজি আখের চিনি ৫৫ টাকায় বিক্রি করেছে,বাজারে সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। প্যাকেটজাত চিনিও একই দরে বিক্রি হচ্ছে, মাধবপুর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা জুয়েল মিয়া জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সবজি সরবরাহ কম হচ্ছে, এ কারণে পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে খুচরায় সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকায় উঠেছে।
প্রতিকেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল গড়ে ৩৫ টাকা পটোল ঢেঁড়স ঝিঙা ও চিচিঙ্গাসহ অন্যান্য সবজি কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।